এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ৩৫ শতাংশের কম বা বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট কাস্টিংয়ের প্রকৃত তথ্য জানতে আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি। আজ বুধবার (২৯ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন সিইসি।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয় ১৬ উপজেলায়। বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়। ৮৭ উপজেলায় মোট এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ৩৯৭ জন প্রার্থী।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন লড়েছেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে যথেষ্ট তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, খুবই সীমিত পরিসরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ভোট কারচুপির চেষ্টায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। আর একজন প্রিজাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
এদিকে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হয়েছে ১৫৬টি উপজেলায়। এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের ভোট।